আউসবিলডুঙ (Ausbildung) কি?
আউসবিলডুঙ হচ্ছে আড়াই থেকে তিন বছরের একটি ভোকেশনাল কোর্স, যেখানে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে কাজের ওপর দক্ষ করে তোলা হবে। এটা যেমন কোন হাতে কলমে শেখার কাজ হতে পারে তেমনি অফিস বসে করার কাজ ও হতে পারে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় মেশিন অপারেটর , ঝালাইকারী , সেবিকা , আইটি বিশেষজ্ঞ , অফিস সহকারী ইত্যাদি।

আউসবিলডুঙ কোর্সএ সাধারণত আপনাকে ৭০% প্রাকটিক্যাল কাজ আর ৩০% থিওরির উপর ভিত্তি করে সবকিছু শেখানো হবে। প্রাকটিক্যাল কাজ টা আপনাকে একটা কোম্পানি তে করতে হবে,আর থিওরির পার্টটা আপনাকে ওই কোম্পানির সাথে কাজ করে এমন একটা স্কুল এ করতে হবে! একটি অসবিলডুঙ এ সুযোগ পেতে হলে আপনাকে শুধু ওই কোম্পানি তে আবেদন করতে হবে , যেখানে আপনি অউসবিলডুঙ করতে চান।

আউসবিলডুঙ কে আপনারা একদম পুরুপুরি একটা জবের মতোই ভাবতে পারেন , যেখানে আপনি সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কাজ করবেন। প্রতিদিন কাজ করার সময় হোচ্ছে ৮ ঘন্টা। সপ্তাহে আপনাকে কাজ করতে হবে ৪০ ঘন্টা। শনিবার এবং রবিবার হচ্ছে জার্মানিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এই কাজের জন্য আপনাকে কোম্পানি একটা বেতন দিবে, যেটার পরিমান ৬৫০ ইউরো থেকে ১১০০ ইউরো পর্যন্ত ( ৬৫০০০টাকা থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ), যেটা দিয়ে খুব সহজেই আপনার থাকা এবং খাওয়ার খরচ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অউসবিলডুঙ চলাকালীন সময়ে আপনি ১০ ঘন্টা(Part Time Job) প্রতি সপ্তাহে কাজ করতে পারবেন। এখানে খেয়াল রাখতে হবে যে এই কাজটি আপনার অউসবিলডুঙ পেশার সাথে মিলতে পারবেনা।

(উদাহরণ: আপনির যদি একজন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসাবে অউসবিলডুঙ করেন , তাহলে আপনার কোনো রেস্টুরেন্ট অথবা বার এ কাজ করতে সমস্যা হবে না )। অসবিলডুঙ চলাকালীন সময়ে আপনাকে বাৎষরিক ২৫ থেকে ৩০ দিনের ছুটি দেয়া হবে।

বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য অউসবিলডুঙ খুব এ ভালো একটা সুযোগ। অউসবিলডুঙ শেষে জার্মানিতে নিশ্চিত চাকরির পাশাপাশি স্থায়ী ভাবে থাকার সুযোগ আছে। কেউ যদি চান অসবিলডুঙ শেষে এখানে পড়ালেখাও করতে পারবেন।